মেদিনীপুরে কলকাতা ডার্বি ঘিরে দর্শকদের উন্মাদনা, খুশি আয়োজক, ফুটবলাররা
রবিবার সকাল থেকেই উত্তেজনায় ফুটছিলেন মেদিনীপুরের ফুটবলপ্রেমীরা। বহুদিন পর এই শহরে ছিল Kolkata Derby। আসল ডার্বি অবশ্যই নয়, কিন্তু দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর মতো দুই প্রধানের প্রাক্তন ও কয়েকজন বর্তমান ফুটবলার খেললেন। ৭০ মিনিটের ম্যাচে যেন ফিরে এসেছিল সাতের দশকের উত্তেজনা-উন্মাদনা। মেদিনীপুরের অরবিন্দ স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে তিল ধারণের জায়গা ছিল না। গ্যালারি দর্শকে ঠাসা ছিল। বড় ম্যাচ ঘিরে মানুষের এই আবেগ-উত্তেজনা দেখে আয়োজকরা উচ্ছ্বসিত।
রবিবার সকাল থেকেই ডার্বি-জ্বরে ভুগছিল মেদিনীপুর শহর। বিকেল চারটেতে খেলা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও, এদিন দুপুর থেকেই কার্যত ভিড় উপচে পড়ে মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে। সবারই লক্ষ্য ছিল ভালোভাবে ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের ম্যাচ উপভোগ করা। খেলা শুরু হওয়ার অনেক আগে থাকতেই লাল-হলুদ আর সবুজ-মেরুন উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। ঘড়ির কাঁটায় চারটে বেজে পাঁচ মিনিটে শুরু হয় খেলা। খেলার শুরু থেকেই ছিল টানটান উত্তেজনা। প্রথমার্ধের ১৩ মিনিটের মাথায় গোল করে ইস্টবেঙ্গলকে এগিয়ে দেন মহম্মদ রফিক। ২০ মিনিটের মাথায় সেই গোল শোধ করে দেন মোহনবাগানের সাবিথ সত্যম। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ গোলে। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য গোল করতে পারেনি কোনও দলই।
92335110
এই ম্যাচ দেখতে অরবিন্দ স্টেডিয়াম হাজির ছিলেন ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগানের প্রাক্তন ফুটবলার ও কোচ বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। এই ধরনের খেলা জেলাস্তরে আরও হলে জেলার উঠতি ফুটবলাররাও যথেষ্ট উৎসাহ পাবেন বলেই মত ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান দুই শিবিরের ফুটবলারদের। ভবিষ্যতে এ ধরনের ম্যাচের অনুষ্ঠিত হোক মেদিনীপুর অরবিন্দ স্টেডিয়ামে, চাইছেন দুই প্রধানের সমর্থকরাই।
92473538
এদিন ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেন অভ্র মন্ডল, অর্ণব মণ্ডল, মহম্মদ রফিক , হীরা মণ্ডল ও শুভ কুমার । মোহনবাগান ব্রিগেডে ছিলেন সন্দীপ নন্দী, ফুলচাঁদ হেমব্রম, মোহন সরকার, সাবিথ সত্যম, রাম মালিক, সন্দীপ বিশ্বাস ও শেখ সাহিল।
92346373
ক্রিকেটের যতই দাপট দেখা যাক না কেন, এখনও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় ফুটবল ঘিরে মানুষের উৎসাহ দেখা যায়। সেটা এদিন ফের প্রমাণিত হল। অভ্র মণ্ডল ফেসবুক পোস্টে মেদিনীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “মেদিনীপুরের সকল ফুটবলপ্রেমী মানুষকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাঁরা আজকে যেভাবে গ্যালারি ভরে আমাদের সমর্থন করে গেলেন, আর আমরাও চেষ্টা করেছি তাদেরকে ভালো খেলা উপহার দেওয়ার। এভাবেই জেলায় জেলায় বাংলার ফুটবল বেঁচে থাকুক।”